প্রবা
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯ এএম
মিলব্যারাক-ফরিদাবাদের রাস্তা সংস্কার জরুরি
পুরোনো ঢাকার
মিলব্যারাকস্থ ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনের রাস্তাতে (কালিচরণ সাহা রোড) দীর্ঘদিন ধরে দৃশ্যমান
গর্ত সংস্কার করা হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক যানবাহন চলাচল
করে। পোস্তগোলা থেকে ফরিদাবাদের হরিচরণ রায় রোড, কে বি রোড হয়ে লোহারপুল পর্যন্ত রাস্তায়
দুই পাশে ছোট-বড় অনেক গর্ত দেখা যায়। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। প্রতিনিয়তই
ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। জরুরি ভিত্তিতে এলাকাবাসীর কল্যাণার্থে পুরোনো
ঢাকার ফরিদাবাদ-মিলব্যারাক ও আইজি গেট পর্যন্ত গর্তগুলোর ওপর স্লাপ বা ঢাকনা পুনঃস্থাপন
করার দাবি জানাই।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা
প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে চাই সামাজিক সচেতনতা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেতে তরুণ-তরুণীরা সম্প্রতি নানা ধরনের কনটেন্ট নির্মাণ করে থাকে। কনটেন্টের মান যেমনই হোক না কেন, দ্রুত ভাইরাল হওয়ার দৌড়ে তারা প্রাধান্য দিয়ে থাকে বিতর্কিত নানা বিষয়। দ্রুত ভাইরাল হওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীরা টিকটককে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা নেতিবাচক ঘটনা আশ্রিত ভিডিও, স্পর্শকাতর বিষয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য, ভুল তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করে যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুজবের জন্ম দেয়—এসব ভাইরাল করতে চাওয়া কনটেন্টের ঘূর্ণাবর্তে আটকে থাকে তারা। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ও নিচ্ছে অনেকে। শুধু তাই নয়, যাচাই-বাছাই না করে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, মিথ্যে বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম কুরুচিপূর্ণ ও ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা এসব ভিডিওকেই অকাট্য প্রমাণ হিসেবে মনে করছে। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ নেতিবাচকতায়। প্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধের বিষয়ে কথা হলেও কাজ হয়েছে কম। তরুণ প্রজন্মকে ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা থেকে সরিয়ে আনতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি চাই প্রযুক্তিবিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
সাকিব আহমেদ সোপান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সদর
কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ
দেশে শীতের মৌসুম শুরুর আগেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য চোখে পড়ে। হলুদ সরিষা ফুল রোদে ঝলমল করতে থাকে। ফসলি মাঠ হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়ে যায়। অপরূপ সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে চারপাশ মুখরিত থাকে। মৌমাছি গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ করে। ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ সরিষা ফুলকে ছুঁয়ে যায়। সরিষার শুকনো গাছ ও পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরিষার খৈল গবাদিপশুর খাদ্য ও সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সরিষার মৌসুমটা মূলত মৌয়ালদের জন্য মধু সংগ্রহের একটি সুবর্ণ সুযোগ। এ সময় মৌয়ালরা সরিষাক্ষেতের পাশে মৌবাক্স স্থাপন করে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করেন। উন্নত বিশ্বে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ শিল্প হিসেবে নানা সুযোগ-সুবিধা পেলেও আমাদের দেশে রয়েছে অবকাঠামোগত নানা প্রতিবন্ধকতা। এর বিকাশে এবং ঋতুগত সুবিধার সদ্ব্যবহারে প্রয়োজন বাড়তি মনোযোগ।
মো. আশরাফুল ইসলাম
তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ